Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চার যুবককে পুলিশে দিলেন এলাকাবাসী

হাতকড়া

বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের ঢাকা অফিসের সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে চার যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে মামলা হওয়ার পর আজ বুধবার সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এই চারজন হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের মো. মিলন হোসেন (২৭), গাজীপুর জেলা সদরের মোঘরখাল এলাকার মো. জয় সরকার (২৮), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের মো. ইউনুস আলী (২৭) ও শেরপুরের নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের মো. সিহাব মিয়া (২৪)।

নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে চার যুবক গৌরীপুর গ্রামের নূরারী এতিমখানা ও মাদ্রাসায় গিয়ে নিজেদের বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের ঢাকা কার্যালয়ের সাংবাদিক পরিচয় দেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম মো. রোকনুজ্জামানের কাছে চাঁদা দাবি করেন। মুহতামিম চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। পরে তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির কাছে গিয়ে চাঁদা চাইলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা ওই চার যুবককে ধরে মারধর করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানাহাজতে রাখে। গভীর রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন মুহতামিম মো. রোকনুজ্জামান।

প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চার যুবক আমার কাছে এসে নিজেদের ঢাকার সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাঁদের সভাপতির কাছে পাঠাই। তাঁদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে সভাপতি লোকজন দিয়ে তাঁদের আটক করেন। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।’

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ারুজ্জামান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবকেরা নিজেদের দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, এই বাংলা, চ্যানেল ২১ ও বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন। তাঁদের কাছ থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগানো মুঠোফোন, লাল রঙের একটি প্রাইভেট কার, ট্রাইপড, বুম, ডিএসএলআর ক্যামেরা ও আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।’