Thank you for trying Sticky AMP!!

সান্তাহারে বিএডিসির সার আত্মসাতের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা

বগুড়ার সান্তাহার বাফার সার গুদাম

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সার গুদাম থেকে ৯৪ মেট্রিক টন সার আত্মসাতের অভিযোগে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এর আগে ১৮ জুলাই সান্তাহার বাফার গুদামের বিএডিসি দপ্তরের ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Also Read: সান্তাহারে বিএডিসির গুদাম থেকে সার চুরির দায়ে গুদামরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

ওই কর্মকর্তার নাম জসিউর রহমান। তিনি সান্তাহারে বিএডিসি দপ্তরের গুদামরক্ষক ও সহকারী পরিচালক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্রয় মেমো ছাড়াই ৪৪ দশমিক ১০ মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি), ৩১ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) এবং ১৮ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) মিলে মোট ৯৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন সার আত্মসাৎ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ১৭ জুলাই বিএডিসি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএডিসির পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান জামাল উদ্দিন ও জনসংযোগ বিভাগের সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও সার লোপাটের সত্যতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই বিএডিসির সচিব মো. আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সান্তাহার বিএডিসির গুদামরক্ষক ও সহকারী পরিচালক (সার) জসিউর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে জসিউর রহমান রাতারাতি বিভিন্ন জায়গা থেকে সার সংগ্রহ করে গুদামজাত করেন বলে জানা যায়। গত বুধবার ওই গুদামে গেলে জসিউর রহমানের পক্ষে সাফাই গান তাঁর আস্থাভাজন কর্মকর্তা বিএডিসি বগুড়া অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক কাজেম আলী।

কাজেম আলী সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এই গুদামে সার আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যাঁরা সার গণনা করতে এসেছিলেন, তাঁরা সঠিকভাবে গোনেননি। এ কারণে তাঁকে (কাজেম আলী) পুনরায় সার গণনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে বিএডিসির সচিব আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে জসিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি পত্র বিএডিসির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা জসিউর রহমানের বিরুদ্ধে ২০ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কেন এক বা একাধিক দণ্ড আরোপ করা হবে না, তার লিখিত জবাব পত্রপ্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।