Thank you for trying Sticky AMP!!

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েও বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন পারুল নাহার

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পারুল নাহার

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পারুল নাহার। তিনি বিএনপির হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি ছিলেন। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পারুল নাহারকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

Also Read: বিএনপির বহিষ্কারাদেশ আমলে নিচ্ছেন না ভোটে অংশ নেওয়া নেতারা

গতকাল শুক্রবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। পারুল নাহার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন নূরুন্নাহার বেগম। পরদিন ২৩ এপ্রিল ওই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পারুল নাহারকে বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।

Also Read: বিএনপি বহিষ্কার করল ৭৩ জনকে

এ বিষয়ে কথা হলে পারুল নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না—লিখিতভাবে এমন কোনো নির্বাহী আদেশ তখনো পাইনি। ফলে আমি নির্বাচনে অংশ নেই। পরে নির্বাচনে অংশ না নিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়। ২২ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আমার মনোনয়নের প্রস্তাবক ও সমর্থককে আমার একটি প্রত্যাহার আবেদন দিয়ে সেটি জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে বলে আমি জরুরি কাজে সেদিন ঢাকায় যাই। পরে তাঁরা জেলা নির্বাচনে অফিসে গিয়ে দেখেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নূরুন্নাহার বেগম তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত হওয়ায় আমার প্রস্তাবক ও সমর্থক সেদিন আর আমার প্রত্যাহার আবেদন জমা দেননি।’

Also Read: উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬৩ জনকে নোটিশ বিএনপির, শিগগির সাংগঠনিক ব্যবস্থা

পারুল নাহার বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা আমার জন্য ভুল হয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনে বিএনপি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া অসম্ভব। কিন্তু আমার যোগ্যতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি গতকাল শুক্রবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে আমাকে মার্সি (ক্ষমা) করার জন্য দলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করেছি।’

Also Read: জলঢাকা পৌর উপনির্বাচনে বিএনপি নেতার পক্ষে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ