Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়র, সচিব, ডিসিসহ ১০ জনকে বেলার আইনি নোটিশ

সিলেট নগরের মাছুদিঘিরপাড় এলাকার ঐতিহ্যবাহী মাছুদিঘি। ছবিটি সম্প্রতি তোলা

সিলেট নগরের মাছুদিঘির একাংশ ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, তিনটি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১০ জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আজ বুধবার দুপুরে বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না ঢাকা থেকে ডাকে এ নোটিশ পাঠান।

আইনি নোটিশে মাছুদিঘি ভরাট ও বর্জ্য ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নোটিশ পাঠানোর সাত দিনের মধ্যে মেয়র এবং বাকি নয়জন সরকারি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আইনজীবীকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

সিলেটের মেয়র ছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তিনজন সচিবকেও আইনি নোটিশ দিয়েছে বেলা। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিবেশ ভবনের মহাপরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি), সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি), পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

দিঘি ভরাট বন্ধে আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিলেট নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৯১ নম্বর মিউনিসিপ্যালটি মৌজার এসএ ৩৮৩৩ নম্বর দাগে মাছুদিঘির অবস্থান। এর আয়তন ২ দশমিক ৪৩৭৫ একর। শহরের পানিনিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে এ দিঘির গুরুত্ব অপরিসীম। শতবর্ষী এ দিঘির পানি ব্যবহার করেন এলাকার স্থানীয় মানুষেরা। অগ্নিকাণ্ডের সময় পানির চাহিদা পূরণ কিংবা শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখাতে এর অবদান আছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে দিঘি ভরাট ও দিঘিতে বর্জ্য ফেলা অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসী বেলার কাছে আইনি সহযোগিতা পেতে অভিযোগ করেছে বলে বেলার আইনজীবী নোটিশে উল্লেখ করেছেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দিঘির পশ্চিমাংশ ভরাটের সত্যতা পেয়েছেন বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দিঘির একাংশ ভরাট করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে দিঘির অর্ধেক অংশ ভরাট করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশে গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। বিশাল এ দিঘি বর্তমানে মরা মজায় (ছোট জলাশয়) পরিণত হয়েছে। তবে দিঘির এ শোচনীয় অবস্থাতেও দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির।

এ বিষয়ে বেলা সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়কারী শাহ সাহেদা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বুধবার ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে নোটিশের কপি পৌঁছে যাবে। নোটিশ পাওয়ার পর জনস্বার্থে দিঘি ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।