তালায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দুই ছাত্রী
সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে দুই স্কুলছাত্রী রক্ষা পেয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে বিয়েবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, সকালে তাঁদের কাছে আজ খবর আসে, উপজেলার খেসরা ইউনিয়নে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) এবং একই এলাকায় সপ্তম শ্রেণির আরেক এক ছাত্রীর (১২) বিয়ের আয়োজন করেছে তাদের পরিবার। এ খবর জানতে পেরে তিনি খেসরা ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সংগীতশিল্পী তপতী মণ্ডল ও নগরঘাটা ইউনিয়নের আবৃত্তি শিক্ষক আসাদুল ইসলামকে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তাঁরা ওই দুই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বিয়েবাড়ি সাজানো হয়েছে। রান্নাবান্না ও বিয়ের আয়োজন চলছে। বাল্যবিবাহের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনকে জানানো হয়। পাশাপাশি পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়।
Also Read: নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকিয়েছেন যে কিশোরী
এর পরপরই পাটকেলঘাটা থানার বালিয়া ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ মোল্যার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ প্রথমে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জন্মসনদে দেখা যায়, কনের বয়স ১২ বছর। তৎক্ষণাৎ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়ে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
Also Read: এক ইউনিয়নে শতাধিক বাল্যবিবাহ
নাজমুন নাহার আরও জানান, পরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে কনের জন্মসনদ চাওয়া হয়। জন্মসনদে দেখা যায়, কনের বয়স ১৪ বছর। তৎক্ষণাৎ বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না ও লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
ওই দুই ছাত্রী ও তাদের মা-বাবাকে ১৮ ডিসেম্বর ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Also Read: ‘উপযুক্ত পাত্র’ পাওয়ায় ৪৪ শতাংশ বাল্যবিবাহ