Thank you for trying Sticky AMP!!

সদরঘাটে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় ছিল, বিকেল থেকে কমেছে

ঈদ উদযাপনের জন্য রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। বৃষ্টির কারণে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আসা মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েন

ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ৪৭টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আর দক্ষিণাঞ্চল থেকে টার্মিনালে লঞ্চ ভিড়েছে ৬৩টি। ঢাকা নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ট্রাফিক কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সদরঘাট ঘুরে দেখা গেছে, আজ দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিল। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যেসব লঞ্চ ছেড়েছে, সেগুলোতে ছিল প্রচুর ভিড়। বিকেল পাঁচটা থেকে যাত্রীর চাপ কমতে থাকে।

কুয়াকাটাগামী এমভি কর্ণফুলী লঞ্চের যাত্রী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটা যাবেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টার্মিনালে এসেছেন। এসে দেখেন লঞ্চে ডেকে বসার কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ডেকের এক কোনায় মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

পাতারহাটগামী ইয়াদ লঞ্চের যাত্রী সেতারা বেগম বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে সদরঘাট টার্মিনালে আসি। লঞ্চে উঠে দেখি, ডেকে বসার কোনো জায়গা নেই। কোনোমতে ছেলেমেয়ে নিয়ে ডেকের এক পাশে জায়গা নিয়েছি। কী করব? বাড়িতে যেতে হবে।’

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক ও ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন আল রশিদ বলেন, সকালে যাত্রীর কিছুটা চাপ ছিল। বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঈদ মৌসুমে দুই বছর আগেও দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীদের চাপে টার্মিনাল এলাকায় চলাফেরা করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সদরঘাট এলাকা এখন প্রায় যাত্রীশূন্য থাকে। লঞ্চের মালিকেরা এখন জ্বালানি খরচ তুলতে পারেন না।

বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে ছিল ভিড়। ঢাকার সদরঘাটে বুধবার দুপুরে

সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, হয়রানি, অনিয়ম ও অপতৎপরতা রোধে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের লোকজন তৎপর আছেন। কোনো অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। বৈরী আবহাওয়ায় সতর্কতা মেনে লঞ্চ চলাচলের জন্য চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।