Thank you for trying Sticky AMP!!

মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে আজ শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি নেতা–কর্মীরা

গভীর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ মিছিল করেন।

Also Read: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গভীর রাতে আটক করেছে পুলিশ: বিএনপি

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়ক থেকে একটি মিছিল বের করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা, নর্থ সার্কুলার সড়ক ঘুরে আবারও চৌরাস্তায় আসে। সেখানে বিএনপির মহাসচিবের মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু তাহের ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন বক্তব্য দেন।

পরে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়ক ধরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এসে দাঁড়ান। সেখানে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বক্তব্য দেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

পরে মিছিলটি শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়ক ধরে এগিয়ে যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদ মোহাম্মদ আলীর স্মৃতিস্তম্ভে আরেক দফা সমাবেশ করেন। সেখানে জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা বক্তব্য দেন।

Also Read: গভীর রাতে ফখরুল-আব্বাসকে আটক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ: খন্দকার মোশাররফ

বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানান।

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নেও বিক্ষোভ হয়েছে উল্লেখ করে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপির মহাসচিবকে রাতের আঁধারে বাসা থেকে আটক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। এর প্রতিবাদে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ করেছে বিএনপিসহ সাধারণ মানুষ।

মাহবুব হোসেন বলেন, সারা দেশে বিএনপি যে গণসমাবেশ করেছে, তাতে সরকার বাধা দিলেও মানুষের ঢলকে আটকাতে পারেনি। আর এতেই সরকার বুঝতে পেরেছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই বিএনপি যাতে মানুষের কথা বলতে না পারে, সে জন্য দমন-পীড়ন শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে এই সরকার।