Thank you for trying Sticky AMP!!

রাতে ‘সরি’ লিখে স্ট্যাটাস, ভোরে তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

অন্তর হুসাইন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘সরি’ লিখে স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অন্তর হুসাইন ওরফে জারিফ (২৫) নামের এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ভাওয়াল মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অন্তর ভাওয়াল মধ্যপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. হুমাউন কবিরের একমাত্র ছেলে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় হতাশা থেকে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। কয়েক দিন আগেও তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা করেছিলেন। স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারায় সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্তর রাতে একা একটি ঘরে ঘুমাতেন। তাঁর মা-বাবা থাকতেন আলাদা আরেকটি ঘরে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি তাঁর ফেসবুকে ‘সরি’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় অন্তরকে দেখতে পান। তাঁরা ঘরের আড়া থেকে তাঁকে নিচে নামান। ততক্ষণে অন্তরের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সালথা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত যুবকের চাচাতো ভাই আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর দুটি বিয়ে করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি (ডিভোর্স) হয়ে যায়। পরে ফরিদপুর শহরে গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। ওই স্ত্রীও দুই মাস আগে তাঁকে ছেড়ে চলে যান। এর পর থেকে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, দুই মাস আগে স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত ছিলেন অন্তর হুসাইন। এ জন্য তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। পরিবারের অনাপত্তি ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাত একটার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অন্তর। তখন স্বজনেরা বিষয়টি আগে জেনে যাওয়ায় তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

অন্তর হুসাইন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘...আমি বিশ্বাস করি আত্মহত্যা খারাপ। আপনি কখনো আত্মহত্যা না করলে বুঝবেন না, মানুষ কোন পর্যায় গিয়ে আত্মহত্যা করে। ...কেউ শখের বশে নিজেকে শেষ করে না।...সুতরাং আত্মহত্যা খারাপ হতে পারে, আত্মহত্যা করা মানুষগুলো খারাপ না।’