Thank you for trying Sticky AMP!!

আজ শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড়ে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুড়ি উৎসবে শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল

পদ্মার পাড়ে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের ঢল

যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। আজ শুক্রবার বিকেলে শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল পদ্মা নদীর পাড়ে। আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছিল নানা আকারের ও রঙের শত শত ঘুড়ি। দেখে মনে হচ্ছিল, আকাশে শত শত পাখি উড়ছে।

আজ বিকেলে ফরিদপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড়ে পদ্মা নদীর পাড়ে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। ‘চলো হারাই শৈশবে’ প্রতিপাদ্যে টিম ফরিদপুর সিটির আয়োজনে ‘পেপারটেক ৭ম ঘুড়ি উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরর্শেদ আলম।

টিম ফরিদপুর সিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পেপারটেক ৭ম ঘুড়ি উৎসব। উৎসবে নানা রং ও ধরনের শত শত ঘুড়ির সমাবেশ দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমান পদ্মা নদীর তীরে

আয়োজকেরা জানান, ঘুড়ি উৎসবের পাশাপাশি ঘুড়ি বিক্রিরও ব্যবস্থা ছিল সেখানে। উৎসব দেখতে ফরিদপুর শহর ছাড়াও এসেছেন বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলার লোকজন। বিকেলের ঘুড়ি উৎসবের পর সন্ধ্যায় অন্ধকার নেমে এলে শত শত ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ মাতিয়ে দেন অংশগ্রহণকারীরা।

ঘুড়ি উৎসব দেখতে আসেন পাশের জেলা মাগুরা সদর উপজেলার মানিক কুণ্ডু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবে এসে প্রাণের স্পন্দন পেয়েছি। আটপৌরে জীবনে উৎসব কী জিনিস, তা যেন ভুলতে বসেছিলাম। আজ মানুষের উল্লাস ও উচ্ছ্বাসের এ ব্যাপক আয়োজনে এসে বুঝতে পারলাম, বেঁচে থাকার শক্তি ও রসদের জন্য জীবনে কর্মব্যস্ততার মধ্যেও উৎসবের প্রয়োজন আছে।’

উৎসব দেখতে ফরিদপুর শহর ছাড়াও এসেছেন বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলার লোকজন

ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা লক্ষ্মণ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এখানে না এলে বুঝতাম না কত লোকের সমাগম হয় এ জায়গায়। পথে অসংখ্য মানুষকে হেঁটে আসতে দেখা গেছে।’

আয়োজকদের একজন টিম ফরিদপুর সিটির এমদাদুল হাসান বলেন, এ উৎসবে বিজয়ী ২০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের নাম ফরিদপুর সিটি নামে ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হবে।