Thank you for trying Sticky AMP!!

থানায় ডেকে ‘শাসন’ করে ছেড়ে দেওয়া বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নারী নির্যাতন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঘরে ঢুকে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আগে দেওয়া লিখিত অভিযোগ গতকাল সোমবার রাতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এর আগে রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূ শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে এক বখাটেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে পুলিশ মামলা নেয়নি। তখন গৃহবধূ অভিযোগ করেছিলেন, ওই বখাটের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে পুলিশ এবং আপসরফা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে ‘শ্লীলতাহানির অভিযোগ, থানায় ডেকে “শাসন” করে বখাটেকে ছেড়ে দিল পুলিশ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

তবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার এএসআই মো. সাজু আসামিপক্ষের কাছে ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মামলা হয়েছে।

Also Read: শ্লীলতাহানির অভিযোগ, থানায় ডেকে ‘শাসন’ করে বখাটেকে ছেড়ে দিল পুলিশ

মামলার প্রধান আসামি ইদ্রীস আলী নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় পুলিশ ইদ্রীস আলীর বাবা আমেদুল ইসলাম (৫৩) ও বড় ভাই ফারুক হোসেন (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী মৌসুমি বিভিন্ন ফসলের ব্যবসা করেন; মাসে তিন-চার দিন বাড়ির বাইরে থাকেন। প্রায় দেড় মাস আগে থেকে বখাটে ইদ্রীস আলী কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। এই প্রস্তাবে তিনি (গৃহবধূ) রাজি হননি। তখন ইদ্রীস আলী চাকু দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখান। তিনি ঘটনাটি তাঁর স্বামী ও স্বজনদের জানান। এ ঘটনায় ইদ্রীসের অভিভাবকেরা তাঁর স্বামীকে হুমকি দেন। গত শনিবার রাতে তাঁর স্বামী প্রতিবেশীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। ইদ্রীস আলী রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে জাপটে ধরেন। বাধা দিলে ইদ্রীস আলী তাঁকে কিল–ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে ইদ্রীস আলী তাঁর বাঁ হাতে কামড় দেন। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন ইদ্রীস আলী ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর গতকাল রাতেই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।