Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে ইপিআই কেন্দ্রগুলোয় শিশুদের টিকার সংকট

নবজাতক কন্যাশিশুকে টিকা দেওয়ার জন্য পৌরসভার টিকাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম।

সেখান থেকে জানানো হয়, প্রথম দফায় হাত ও পায়ে যে চারটি টিকা দেওয়া হয়, তার মধ্যে দুটি টিকার সরবরাহ নেই। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর ইপিআই টিকাকেন্দ্রে পেনটা ও পিসিবি টিকার এ সংকট চলছে। পৌরসভার টিকাকেন্দ্রে না পেয়ে আবদুল কাইয়ুম সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সেখানেও একই তথ্য পান। নির্ধারিত সময়ে শিশুকে টিকা দিতে পারবেন কি না, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

নোয়াখালী জেলায় নবজাতক শিশুদের টিকার এমন সংকটের কারণে আবদুল কাইয়ুমের মতো অভিভাবকেরা শিশুদের টিকা দেওয়া নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন। ইপিআই কেন্দ্রগুলো থেকে নবজাতককে টিকা না দিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। কবে টিকার সরবরাহ ঠিক হবে ও টিকা সহজলভ্য হবে, তা–ও জানেন না তাঁরা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম বলেন, টিকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা এভাবে বন্ধ থাকা খুবই দুঃখজনক। অনেক অভিভাবক নির্ধারিত সময়ে শিশুর টিকা দিতে পারেননি। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
জন্মের ৪২ দিন পর শিশুকে চারটি টিকা (ডিসিজি, আইপিবি, ফেনটা ও পিসিবি) দেওয়ার নিয়ম।

সংক্রামক রোগে শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য এসব টিকা দেওয়া হয়। এদিকে টিকাসংকটের কারণে প্রতিনিয়ত অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীদের। কয়েকজন মাঠকর্মী জানান, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পেনটা ও পিসিবি টিকার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয় এবং জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পর তাঁদের জানানো হয়, এই সংকট এখন সারা দেশে। শিগগিরই টিকার চালান দেশে এসে পৌঁছাবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগেও এমন সংকট হয়েছে।

কেন্দ্রগুলোয় টিকার সংকটের কথা স্বীকার করেন জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, শিশুদের শরীরে প্রয়োগ করা এসব টিকা বিদেশ থেকে আনা হয়। মাঝেমধ্যে টিকার সংকট হয়, আবার তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। জন্মের দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এসব টিকা দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।