Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজৈরে পরিত্যক্ত দোকান থেকে লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে চুরির অভিযোগে পিটুনিতে মৃত্যু

লাশ

মাদারীপুরের রাজৈরে গোবিন্দ রায় (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে তালপট্টি এলাকার পরিত্যক্ত একটি দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গোবিন্দ রায়ের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, গোবিন্দ পেশাদার চোর। গতকাল সোমবার রাতে তিনি একটি বাড়িতে চুরি করতে যান। সেখানে ধরা পড়ার পর তাঁকে মারধর করা হলে একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত গোবিন্দ রায় রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান এলাকার মৃত তারাপদ রায়ের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোবিন্দর বিরুদ্ধে এলাকায় ছিঁচকে চুরির অভিযোগ আছে। গতকাল রাতে তিনি হোসেনপুরের নাগরদী এলাকার শুকদেব মালো নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন তাঁকে ধরে ফেলে। পরে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। মারধরের একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় গোবিন্দ পার্শ্ববর্তী তালপট্টি এলাকার একটি পরিত্যক্ত দোকানের ভেতর আশ্রয় নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সকালে ওই দোকানে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েক যুবক। খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে জানতে আজ দুপুরে শুকদেব মালোর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, গোবিন্দ পেশায় একজন চোর। এ কারণে তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে থাকেন না। গতকাল রাতে শুকদেব মালোর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন গোবিন্দ। পরে তাঁকে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত শুকদেব মালোর বিষয়ে সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘চোর ধরার পর নিয়ম হলো পুলিশের কাছে সোপর্দ করা। কিন্তু শুকদেব মালো সেটি না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। চোরকে মারধর করা গুরুতর অন্যায়। আমাদের ধারণা, মারধরের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোবিন্দর ভাইয়েরা খুলনা থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’