Thank you for trying Sticky AMP!!

রাতারগুল–সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর

জলাবন রাতারগুলে নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকেরা

পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সিলেটের রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট (জলাবন) সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে রাতারগুল জলাবন। অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করে বনটি রক্ষার জন্য বন বিভাগের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দারা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দা সুনা মিয়া, মো. হারিছ মিয়া, কাদির, সুফিয়ান, মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ। বন কর্মকর্তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সিলেট বন বিভাগের প্রধান সহকারী গোলাম মোস্তফা।

Also Read: রাতারগুল সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনার প্রস্তাব

গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রাতারগুল জলাবন (সোয়াম্প ফরেস্ট) হওয়ায় ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত ঘোষণা করে বন বিভাগ। নদী ও হাওরবেষ্টিত ৫০৪ দশমিক ৫০ একর আয়তনের পুরো এলাকা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অনেকটা অজানা ছিল। ২০১২ সালের বিশ্ব পর্যটন দিবসে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় রাতারগুলের একটি আলোকচিত্র প্রকাশিত হলে তা নতুন করে পরিচিত করে তোলে এই নয়নাভিরাম স্থানকে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট এলাকার বাসিন্দারা বনে পর্যটকদের নিয়ে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বর্তমানে রাতারগুল বনের পাশের গোয়াইন নদ থেকে কিছু অসাধু বালু উত্তোলনকারী রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালীরা মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

Also Read: এ সময়ে যেমন রাতারগুল