Thank you for trying Sticky AMP!!

মিশ্র ফলবাগানে নজর কাড়ছে হলুদ, গোলাপি ও সাদা রঙের ড্রাগন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিরর কোকতারা গ্রামে মিশ্র ফলের বাগানে বর্ণিল ড্রাগন ফল শোভা পাচ্ছে

বাগানে মাল্টা, পেয়ারা, বারোমাসি আম, লেবু, বরই, কলাসহ কয়েক প্রজাতির ফল গাছ। এসবের মধ্যে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। এসব গাছে ধরে আছে হলুদ, গোলাপি ও সাদা রঙের ফল। মুহূর্তেই নজর চলে যায় বর্ণিল ফলগুলোর দিকে।

মিশ্র ফলের এমন বাগান করে আয় করছেন জয়পুরহাটের হেদায়েত হোসেন ওরফে শিপলু। তাঁর বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের কোকতারা গ্রামে। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। পাশাপাশি গ্রামে গড়ে তুলেছেন মিশ্র ফলের বাগান।

সম্প্রতি হেদায়েতের মিশ্র ফলের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ আছে। এসবের মধ্যে থাকা একেকটি ড্রাগনগাছে ঝুলছে পাঁচ থেকে সাতটি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা হলুদ, গোলাপি ও সাদা রঙের ফল।

বাগানের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ড্রাগনের ছোট ডিপি কেটে নিয়ে চারা করি। সেসব চারা একটু বড় হলে লাগানো হয়। ড্রাগনগাছে রাতে ফুল ফোটে। ওই সময় ফুলে পরাগায়ন করা হয়। এতে ফল বেশি পাওয়া যায়। তা ছাড়া পোকামাকড় ও পাখির উপদ্রব থেকে ফলকে সুরক্ষিত রাখতে ড্রাগন ফল পলিব্যাগের ভেতরে রাখা হয়।’

বাগানমালিক হেদায়েতের ভগ্নিপতি তাশকেরুল ইসলাম ওরফে তুষার বাগানটি দেখভাল করেন। তিনি বলেন, এই সমন্বিত খামার ২০২১ সালে শুরু করেন তাঁরা। অনেক প্রজাতির ফল চাষ করা হলেও ফলনের দিক থেকে তাঁরা ড্রাগন চাষে সফল।

হেদায়েত বলেন, বর্তমানে সাড়ে ১২ একর জমিজুড়ে এই সমন্বিত কৃষিখামার। মিশ্র ফলের বাগানের পাশাপাশি আছে হাঁস, গাড়ল ও মাছের খামার। বাগান শুরুর এক বছর পর প্রায় সাত লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। এর বেশির ভাগ টাকা আসে ড্রাগন থেকে। বাগানে সাত ধরনের ড্রাগন আছে। বছরের এই ৭ থেকে ৮ মাসে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। বাকি সময়ে আরও ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে বলে আশা তাঁর। এই খামারে প্রায় ২০ জন কর্মচারী কাজ করেন।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, হেদায়েতকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় এটি সবচেয়ে বড় বাগান।