Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদের দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে

জীবন থেমে থাকে না। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিদায়ের পর শুক্রবারের আকাশে উঠেছে ঝলমলে রোদ। শিশুরা তাই ছাদে উঠেছে ঘুড়ি ওড়াতে। করোনায় এবার ঘরবন্দী ঈদে শহরের শিশুদের একমাত্র আনন্দের উৎস হতে পারে ছাদ বেড়ানো ও ঘুড়ি ওড়ানো। গতকাল বিকেলে পাবনা শহরের পৈলানপুর এলাকায়। ছবি: হাসান মাহমুদ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় দেশের​ বেশির ভাগ এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ছিল। ওই সময় পর্যন্ত এটি লঘুচাপ হিসেবে রাজশাহী ও দিনাজপুর এলাকায় অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এটি আরও সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। সেই সঙ্গে কমতে থাকবে এর শক্তি। ফলে ধীরে ধীরে এটি গুরুত্বহীন হয়ে গতকাল রাতের মধ্যেই বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারে।

গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা হয়ে দেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এ বছরের প্রথম এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অন্তত ২৬টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। উপকূলে আশ্রয়হীন হয়েছে বহু মানুষ। সুন্দরবনের বাধার কারণে বাংলাদেশে আঘাতের পর গতিবেগ কমে আসে আম্পানের। তারপরও কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় চলতি বছরের প্রথম এই ঘূর্ণিঝড়। এরপর এটি স্থল নিম্নচাপ ও পরে লঘুচাপে পরিণত হয়। গতকালও এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারী মাত্রার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে। আর একক স্থান হিসেবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুণ্ডে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) সীতাকুণ্ডে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শনিবারের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বর্জ্যসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। কোথাও কালবৈশাখীর কোনো সতর্কতা বা পূর্বাভাস নেই।

আম্পানের প্রভাবে গত কয়েক দিন থেকে দেশের বন্দর এলাকাগুলোর জন্য নানা ধরনের সতর্কবার্তা থাকলেও আজ শনিবারের জন্য কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া আগের সতর্কসংকেত নামিয়ে নিতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে।

ঈদের দিন

চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে আগামী রোববার বা সোমবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ওই দুদিন দেশের আবহাওয়ার পরিস্থিতি কেমন থাকবে, জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের দুই দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের বাকি অংশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দাবদাহেরও কোনো শঙ্কা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।