Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা, নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

প্রথম আলো ফাইল ছবি

আর চার দিন পর ঈদুল আজহা। তবে ঈদের আগে প্রকৃতির মেজাজ কিছুটা বিগড়ে রয়েছে। টানা না হলেও দেশের কোথাও কোথাও অল্প সময়ের জন্য ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে প্রচুর মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে, ঝরছে বৃষ্টি। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকাকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এমন আবহাওয়া আরও এক সপ্তাহের মতো থাকতে পারে। সে রকম হলে ঈদের দিনও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আফতাবউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ আকারে ভারতের ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়ে গেছে। আজ বিকেলের পর ওডিশা পেরিয়ে যাবে। নিম্নচাপটি সাইক্লোনে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে আজ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। শুক্রবার বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। মৌসুমি গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌসুমি গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর অনেকটাই উত্তাল। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং আশপাশের দূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যেতে পারে। এ জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।