Thank you for trying Sticky AMP!!

উজানে পানি বাড়ায় কয়েক জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হয়ে গেছে আজ। এই সময়ে আষাঢ়ের মেঘ-বৃষ্টিও অনির্ধারিত ছুটিতে যেতে পারে বলে খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই সম্ভাবনা দেশের বেশির ভাগ এলাকার জন্যই। 

তবে কখনোই প্রকৃতির বিষয়ে ঝুঁকি নিতে চান না আবহাওয়াবিদেরা। তাই আছে সতর্কবার্তাও, স্বাভাবিক শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও হঠাৎ কোথাও কোথাও একপশলা বৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর রাজধানীর আকাশ মেঘলা হয়ে উঠতে পারে। আর সিলেট ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। ঈদের দুই-তিন দিন পর থেকে আবার অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বললেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে ঈদের দিন বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ ভাগ। ওই দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে যেহেতু বর্ষাকাল, তাই যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে দুই-এক পশলা বৃষ্টি যে হবে না, তা হলফ করে বলা কঠিন। তবে অঝোর বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
আগামী শনি ও রোববারের পূর্বাভাস বলছে, সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমাগত কমে আসতে পারে। আকাশে মেঘ কম থাকবে। তবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাতে গত সপ্তাহে যে তীব্র গরমের অনুভূতি ছিল, আগামী কয়েক দিন সে রকম থাকবে না।
ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও নদী দিয়ে অন্য বিপদ ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তারা বলছে, বাংলাদেশের উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামে বৃষ্টি বেড়ে গেছে। ওই বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীগুলো দিয়ে সাগরের দিকে ধেয়ে আসছে। চলার পথে ওই পানি নদ-নদী উপচে পার্শ্ববর্তী এলাকায় হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ইতিমধ্যে ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর মধ্যে মাতামুহুরী ও সাঙ্গুর পানি বাড়ছে দ্রুত। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা ও মনু নদের পানি বাড়ছে। ফলে সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বান্দরবান ও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চলে ঈদের দিন বা আগে-পরে যেকোনো দিন আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।