Thank you for trying Sticky AMP!!

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কলাপাড়ার ৮ গ্রাম প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলীয় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছবি: এএফপি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কলাপাড়ার আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রাবনাবাদ নদের জোয়ারের পানিতে সাগর পাড়ের বানাতিপাড়া, চাড়িপাড়া, নয়াকাটা, চৌধুরীপাড়া, নাওয়াপাড়া, ছোট পাঁচ নম্বর, বড় পাঁচ নম্বর ও মুন্সীপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নের ৪৭/৫ নম্বর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ বহুদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। যার কারণে ভাঙন কবলিত অংশ দিয়ে রাবনাবাদ নদের পানি ঢুকে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান, ৮টি গ্রামের কমপক্ষে ৮-১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী এসব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলায় দুর্গত মানুষকে আশ্রয় দিতে ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯০০-১২০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

এদিকে দুপুর একটা পর্যন্ত ১০ হাজার লোক উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান জানান।

কলাপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাইকিং করা সত্ত্বেও মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী বলেন, পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে সকাল ৬টা থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। কলাপাড়ার ১২টি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের একটি করে দল কাজ করছে বলে তিনি জানান।

এদিকে শুক্র, শনি ও রোববার তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসে পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা দুই-তিন হাজারের মতো হতে পারে।

অতি উৎসাহী অনেক পর্যটক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে সাগরে গোসল করতে নামেন। কুয়াকাটা পর্যটন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাইকিং করে এসব পর্যটককে হোটেলে ফিরে যেতে বলা হয়। অনেকে আমাদের কথা না শুনে সাগরের পানিতে নেমে গোসল করতে থাকেন। পরে জোর করে সেসব পর্যটককে হোটেলে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তা ছাড়া বিপদ এড়াতে কুয়াকাটা সৈকতে নামার প্রধান সড়কসহ জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে চলাচল আটকে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকসহ কোনো মানুষ যাতে সৈকতে না নামতে পারেন, সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে সাগরপাড়ের গঙ্গামতি এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানান, গত বৃহস্পতিবার চর গঙ্গামতি ও চর চাপলী এলাকার সাতজন জেলে একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যান। এখন পর্যন্ত সেসব জেলেরা উপকূলে ফিরে আসেননি।