Thank you for trying Sticky AMP!!

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে

তিস্তা ব্যারেজের ফাইল ছবি

উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কারণে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত প্রায় ১৫টি চরাঞ্চলের গ্রামের ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার কমলেও দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

বিকেলে মুঠোফোনে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই মৌজার প্রায় নয় শ পরিবারের ঘরবাড়িতে হাঁটু ও কোমর পানি উঠে। পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পানিবন্দী মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে বলা হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ইউনিয়নের ছোট খাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় ছয় শ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেইন বলেন, আজ তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় ইউনিয়নের হলদিবাড়ি ও ভবনচুর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

এদিকে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বুড়ি তিস্তা, দেওনাই, চাড়ালকাটা, ধাইজান, খড়খড়িয়া যমুনেশ্বরীসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুর্বল স্থানগুলো শক্তিশালী করতে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হচ্ছে।