Thank you for trying Sticky AMP!!

নীলফামারীতে দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

দ্বিতীয় দফায় নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ডিমলা উপজেলার ১৫টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ছয় দিন পর সোমবার নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। এতে তিস্তার পারে ডিমলা উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সোমবার বেলা তিনটায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার, ৯টায় ৫২ দশমিক ৫৮ ও দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

এর আগে গত ১১ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ও ১৩ জুলাই সেটা সর্বোচ্চ ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে বিপৎসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হলেও ১৬ জুলাই থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তাঁর ইউনিয়নের ১ হাজার ৬৮০ পরিবার দ্বিতীয়বারের মতো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে খড়িবাড়ি গ্রামে অবস্থিত দুই কিলোমিটার স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধটি তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা তিনটায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক আছে।