পদ্মায় ধরা পড়ল ৬৬ কেজি ওজনের ৩টি পাঙাশ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ৬৬ কেজি ওজনের তিনটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে মাছগুলো ধরা পড়ে। এগুলোর ওজন ২৪, ২২ ও ২০ কেজি। দৌলতদিয়া বাজারে আড়তদারের ঘর থেকে ৩৩ হাজার ৬০০ টাকায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙাশটি বিক্রি হয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের লোকজন ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন দিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় কিছু বড় মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে পদ্মায় জাল ফেলেন রহমান হালদার। রাতে দুবার জাল তুলে তেমন মাছ পাননি। ভোরের দিকে জাল টেনে তোলার সময় রহমান ও তাঁর সঙ্গীরা বুঝতে পারেন, জালে বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তোলার পর দেখতে পান বড় আকরের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি বিক্রির জন্য তাঁরা দৌলতদিয়া ঘাট বিকল্প সড়ক সংলগ্ন আনোয়ার খাঁনের আড়তে নিয়ে যান। ওজন দিয়ে দেখেন মাছটি প্রায় ২৪ কেজির। এ সময় নিলামে তুললে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। পরে তিনি পাঙাশ মাছটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় জমান।
মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, ‘২৪ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছটি ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রির আশায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মুঠোফোনে ছবি তুলে বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছি। পরিচিত বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতির সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি আজকের মধ্যেই মাছটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।’
গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এই মৌসুমে এখন পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই বড় মাছ পাওয়া যাবে। মাঝে কিছুদিন পানি বাড়তে থাকায় মাছ অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমানে দুই-তিন দিন ধরে পানি কমতে থাকায় আবার বড় বড় পাঙাশ, বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত তিন জেলের জালে তিনটি বড় পাঙাশ ধরা পড়েছে।
তবে বাকি দুটি মাছের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।