Thank you for trying Sticky AMP!!

পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ফাইল ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

নদী তীরবর্তী ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। গত শুক্রবার থেকে পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ায় বন্যার শঙ্কায় আছেন হাজারো মানুষ। একই সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপের নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

ইসলামপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, যমুনা নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষের দুর্দশা ছাড়ছে না। প্রথম দফার পানি দুর্গত এলাকা থেকে নামতে থাকায় বন্যার্তরা নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিলেন। তবে অনেক মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়ে আছেন। এর মধ্যে আবার পানি বাড়ছে। এতে অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, একদিনের মধ্যেই পুরো ইউনিয়ন আবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়বে। এতে দুর্গত এলাকার মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়বে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মুক্তাদীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। অন্যস্থানে যখন পানি কোমর সমান হয়, তখন এখানে মাথা পর্যন্ত পানি থাকে। গতকাল রোববার থেকে পানি ঢুকছে। টানা ১২ দিন মানুষ বন্যার পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে মাত্রই ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিলেন। এর মধ্যেই আবার বন্যা। এতে করে এসব অঞ্চলের মানুষের দুঃখের সীমা থাকবে না। বেশির ভাগ মানুষের হাতে টাকা–পয়সা নেই। অনেকের কাজকর্ম নেই। এর মধ্যে বন্যার কারণে চরম বিপাকে পড়বেন মানুষ। 

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবার বন্যায় এই উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ পুরো উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। দুর্গম অনেক চরাঞ্চল থেকে প্রথম দফার পানিই নেমে যায়নি। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্গত মানুষকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।