Thank you for trying Sticky AMP!!

ফণীতে যত ক্ষতি হলো

ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮০৪ হেক্টর।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

ভারতের ওডিশায় আঘাত হানার পর ৪ মে সকালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি পরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যায়।

আজকের সভায় জানানো হয়, ফণীতে ২ হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

ফণীর প্রভাবে ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে এবং বরগুনায় দুজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়। আর পটুয়াখালীতে ১৬৫টি গবাদিপশু নিখোঁজ হয়, যার অনেকগুলো পরে পাওয়া যায়।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আগেই প্রস্তুতি নেওয়ায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪১৭ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর সম্ভব হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ মে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ১৪ হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকার গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ্ কামাল প্রমুখ।