Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার উত্তর দৌলতপুরের খেতের ফসল ও গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। ছবিটি রোববার উত্তর দৌলতপুর গ্রাম থেকে তোলা

ফেনীতে ২ নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন, ৫ গ্রামে আকস্মিক বন্যা

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহুরি নদী ও কহুয়া নদীর বেড়ি বাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার রাতে পাহাড়ি ঢল ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানি মহুরি ও কহুয়া নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এ সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর মোহাম্মদ উল্লাহর বাড়ি সংলগ্ন মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধে ও দক্ষিণ দৌলতপুরে কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও বৈরাগপুর গ্রামে আকস্মিক বন্যা।

বন্যায় উঠতি আমন ধান ও সবজির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু বাড়িঘরেও পানি ঢুকে গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফেনী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন সকালেই ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন।

ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার উত্তর দৌলতপুরের খেতের ফসল তলিয়ে গেছে। ছবিটি রোববার উত্তর দৌলতপুর গ্রাম থেকে তোলা

পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুর নবী জানায়, রোববার সকালে মুহুরি ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় দুই ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমনুল ইসলাম জানায়, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় ওই পাঁচ গ্রামের ১০৫ হেক্টর উঠতি রোপা আমন ধানের খেত এবং ৬ হেক্টর সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি।