ভূমি-বৈষম্য দূর করতে হবে
উন্নয়নের ভিত মজবুত করতে হলে সমাজ থেকে ভূমি–বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য কমিয়ে সম–অধিকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে আজ বুধবার এ কথা বলেন বক্তারা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষে ‘নারীর ভূমি অধিকার, কৃষিতে অংশগ্রহণ এবং নারীর নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন এএলআরডি।
নারী অধিকারকর্মী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘উন্নয়নসূচকে আমরা এগিয়ে আছি। প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কিন্তু সেই সঙ্গে বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
মেনন বলেন, ভূমিসংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে নারীর অন্তর্ভুক্তি যুক্ত করতে হবে। তা ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।
এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, কৃষির আবিষ্কারক নারীর জন্য আইন তৈরি করে হলেও কৃষিঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু প্রবৃদ্ধি দিয়ে উন্নয়নের আসল চেহারা বোঝা যায় না।
সেমিনারের সভাপতি খুশী কবির বলেন, ‘কৃষি, ভূমির বাণিজ্যিকীকরণের কারণে আমাদের খাদ্য সার্বভৌমত্ব আজ হেরে গেছে। ভূমিসংস্কার ও খাসজমি নীতিমালা সংশোধনের জন্য সবাইকে এক টেবিলে বসতে হবে।’
আলোনায় অংশ নেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, উন্নয়নকর্মী আফজালুন্নেসা চৌধুরী, রাঙামাটির নারী হেডম্যান চম্পা চাকমা, ফরিদপুরের নারী কৃষক মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন
-
২১ জেলার বাসিন্দারা তাপপ্রবাহের উচ্চ ঝুঁকিতে
-
সবার চোখের সামনে ডুবেছে বেসিক ব্যাংক
-
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী ক্যাম্পাস বিক্ষোভে ১৯০ পরামর্শক গোষ্ঠীর সমর্থন
-
ফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
-
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরি মেরে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক