Thank you for trying Sticky AMP!!

লঘুচাপে গরম বাড়ছে, ৩ নম্বর সতর্কতা

প্রথম আলো ফাইল ছবি।

আষাঢ় মাস চলে এসেছে। আজ শুক্রবার ৭ আষাঢ়। ভরা বর্ষাকালেও বৃষ্টির দেখা খুব একটা নেই। মাঝেমধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি। বৃষ্টি থেমে গেলে গুমোট গরমে হাঁসফাঁস। বেড়ে যায় অস্বস্তি। কিন্তু বৃষ্টির সময়ে কেন এই দশা? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এই লঘুচাপের প্রভাবে গরম বাড়ছে। দুই দিন পর বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এই জলীয় বাষ্প দীর্ঘসময় তাপ ধরে রাখছে। এ কারণে রাতের বেলাও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে এবং মানুষের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে, কিন্তু অনুভব হচ্ছে আরও বেশি। এই অবস্থা আজ ও আগামীকাল থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।

লঘুচাপের অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিম্নচাপে রূপ নিলেও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে লঘুচাপের কারণে প্রচুর মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পর এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে তখন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। মৌসুমি বায়ু সারা দেশে সক্রিয় থাকলেও লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি কম হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় প্রচুর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে জন্য নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু–এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃষ্টি হলে রাজশাহী, খুলনা, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটি কমে আসতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৩ জুন থেকে উত্তর–পূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।