Thank you for trying Sticky AMP!!

লস অ্যাঞ্জেলেস-প্যারিস, বৃষ্টিতে বোঝা যায় ঢাকার অবস্থা

ঢাকায় কয়েক দিন ধরেই থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। অল্প বৃষ্টিতেই বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা নিরসনে কী করা যেতে পারে—এমন পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল প্রথম আলোর পাঠকদের কাছে। পাঠকেরা অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি প্রধানত সাধারণ মানুষের সচেতনতার কথা বলেছেন তাঁরা। এ ছাড়া পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলার বিষয়টিও পাঠকেরা মন্তব্যে উল্লেখ করেন।

সাইফুল আযম লিখেছেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। সিটি করপোরেশন, রাজউক, ওয়াসা, সঙ্গে জনগণ—সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’ মো. ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন, ‘এর অনন্য সমাধান একটাই—পলিথিনের ব্যবহার কঠোরতম পদ্ধতিতে বন্ধ করা হোক। জনগণ ও শিল্প–কারখানাগুলো যাতে নালা-নর্দমায় আবর্জনা ফেলতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘নিজে সচেতন হোন, ড্রেন, খাল ও নদী দূষিত করা থেকে বিরত থাকুন। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাধা পাওয়ার জন্য দখলদার দায়ী। দখলমুক্ত জলাশয় হলেই হয়তো নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।’ লিখেছেন, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। এম এ মজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘বিদেশে প্রতিটি রাস্তা তৈরির আগে দুই পাশে ড্রেন তৈরি করা হয়; এরপর রাস্তা তৈরি করা হয়। এ জন্য বিদেশি রাস্তায় পানি বা জলাবদ্ধতা থাকে না। আমি মনে করি, সরকার যদি রাস্তার দুই পাশে বড় করে ড্রেন তৈরি করে, তাহলে পানি জমবে না।’

সেলিম রাজা লিখেছেন, ‘সুন্দর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে দখলকৃত খালগুলো পুনরুদ্ধার করে পুনঃখনন করে ড্রেনের সঙ্গে খালের লিংকেজ তৈরি করলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভালো কাজ দেবে বলে মনে করি।’ ওবায়দুল ইসলাম লিখেছেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে একটাই মাত্র উপায়—জনসচেতনতা। ময়লা প্লাস্টিকের বোতল অথবা প্লাস্টিকের ব্যাগ, চিপসের প্যাকেট যেখানে–সেখানে না ফেলা। তাতে জলাবদ্ধতা ৭০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব!’

আফরিন সুলতানা জুঁই লিখেছেন, ‘ম্যানহোলগুলো প্রতি সপ্তাহেই পরিষ্কার করা উচিত। তাহলে অন্তত বৃষ্টির পানিগুলো তাড়াতাড়ি সরে যাওয়ার জায়গা পাবে।’ আলি হায়দার রাসেল লিখেছেন, ‘উন্নয়নের ফাঁকা বুলি ছাড়তে হবে। রাস্তার ড্রেনগুলোর উন্নয়নে কাজ করতে হবে। মুখে বড় বড় কথা—ঢাকা লস অ্যাঞ্জেলেস, প্যারিস হয়ে গেছে। এই বৃষ্টির পর বোঝা যায় ঢাকার কী অবস্থা!’

ফাতেমা সুলতানা অন্না লিখেছেন, ‘স্ব স্ব স্থান থেকে দায়িত্ববান হলে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না। আমাদের একটু অসতর্কতার জন্য পরিবেশের ওপর এ রকম চাপ হচ্ছে।’ জীবন দেওয়ান লিখেছেন, ‘মেয়র সাহেবরা ক্ষমতায় আসার আগে অনেক কিছু বলেন, ক্ষমতায় এলে কিছুই করতে পারেন না কেন? এর কারণ কী? চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এই সমস্যা লেগে আছে। এর সমাধান আমার মনে হয় নেই।’

রোজী জাহেদ লিখেছেন, ‘বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার কোনো রাস্তাই তো নেই। পানি নামবে কীভাবে?’ রেজাউল ইসলাম লিখেছেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এই নিয়ে লেখালিখি প্রতিশ্রুতি, তার পর থেকে আর এসব নিয়ে কেউ কিছু বলে না।’ মো. জামাল লিখেছেন, ‘পানি বেশি হলে মাছের পোনা ছাড়া হোক!’ রাকিব জোয়র্দার লিখেছেন, ‘মাছ চাষ প্রকল্প শুরু করা হোক।’