Thank you for trying Sticky AMP!!

সতর্কবার্তা সাপেক্ষে লোকজন সরানো হবে

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন। কক্সবাজারের সমুদ্রে সৈকতে উত্তোলন করা হয়েছে লাল পতাকা। বৃহস্পতিবার, ২ মে, সুগন্ধা বিচ, কক্সবাজার। ছবি: সাজিদ হোসেন

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসন মাইকিং শুরু করেছে। সাগর তীরবর্তী পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম। সতর্কবার্তা দেখে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। এতে পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ও সাগর তীরবর্তী লোকজনকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন। সভায় তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলাগুলোর মধ্যে সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও আনোয়ারায় মাইকিং চলছে বলে সভায় জানানো হয়। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। খেতে পাকা ধান থাকলে সেগুলো কেটে ফেলার জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জানান, জেলা প্রশাসনে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় পৃথক নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়। চট্টগ্রাম জেলায় ২ হাজার ৭৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সতর্কবার্তা দেখে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, নাম হয় ফণী। এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার আশঙ্কায় কক্সবাজারের ফিসারি ঘাটে জেলেদের মাছ ধরার টলার নোঙর করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ২ মে, কক্সবাজার। ছবি: সাজিদ হোসেন

এদিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২৮৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ উপজেলায় ৫টি করে ৭০টি, ২০০ ইউনিয়নে ১টি করে মোট ২০০টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি এবং নগরে আরও ৯টি আরবান ডিসপেনসারি টিম গঠন করে তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৯ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ এবং সাড়ে ৪ লাখ ওরস্যালাইনও মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।