Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতলা বিলের লাল শাপলা

বরিশালের উজিরপুরের সাতলা বিলে পর্যটকেরা। ছবি: সাইয়ান

বিলজুড়ে রঙিন শাপলার বর্ণাঢ্য উৎসব। তা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। লাল শাপলায় ঢেকে থাকা এই বিলের অবস্থান বরিশাল শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নে। প্রায় ২০০ একরজুড়ে বিস্তৃত বিলটির নাম সাতলা।

বিলের চারপাশ সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা। হারতা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, আষাঢ় থেকে কার্তিক—এই পাঁচ মাস সাতলা বিলে ফোটে লাল শাপলা। বিলের সৌন্দর্য উপভোগের উপযুক্ত সময় শরতের শেষ ভাগ থেকে হেমন্তের মাঝামাঝি। ভোর থেকে সকাল আটটা এবং পড়ন্ত বিকেলে শাপলার রূপ-সৌন্দর্য বেশি। সূর্যের তেজ বাড়তে থাকলে শাপলা ফুলের পাপড়ি ছোট হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সাতলা বিলকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছেন। গত শুক্রবার বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান সাতলা বিল পরিদর্শন করেন। দৃষ্টিনন্দন এই বিল ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

হারতার পাশের ইউনিয়ন বাগধায় (আগৈলঝাড়া উপজেলায় পড়েছে) সাতলার মতোই আরও তিনটি বড় বিল রয়েছে। বিলগুলোর নাম নয়াকান্দি, পটিবাড়ি ও কালবিরা। এসব বিলেও আষাঢ় থেকে কার্তিক মাসের মধ্যে লাল শাপলা ফোটে। এই চার বিলে পর্যটকেরা যাতে সহজে যেতে পারেন, সে জন্য উন্নত সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সাতলা বিল এলাকায় একটি আনসার ক্যাম্প স্থাপন এবং থাকার জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি ডাকবাংলো নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে।

রাম চন্দ্র দাস বলেন, সাতলা বিলে কোনো পর্যটক এলে তাঁরা মুগ্ধ হবেন। আর বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, সাতলা বিলে পর্যটনকেন্দ্র করার বিষয়টি পর্যটন করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।