Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবুলের আবেদন খারিজ, বিচারকাজ চলবে

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার

স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

মাহমুদা হত্যা মামলায় গত ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বাবুলের করা আবেদন সেদিন খারিজ হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাবুল।

আজ আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি প্রথম আলোকে বলেন, মাহমুদা হত্যা মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে বাবুল হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনে যেসব কারণ তুলে ধরা হয়েছে, তা বিচারিক আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে বলে হাইকোর্ট উল্লেখ করেন। একপর্যায়ে আবেদনকারীর আইনজীবীর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বাবুলের আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামের আদালতে এই মামলার বিচার চলছে। এই কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে এক নারীর সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে হত্যা করা হয়। তিনি সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।