Thank you for trying Sticky AMP!!

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণের আয়োজনের সময় সংকোচন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। আজ শনিবার দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের নেতারা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এটি স্বাধীনভাবে জনগণের অভিব্যক্তি প্রকাশ ও উৎসব উদ্‌যাপনের পরিপন্থী। সরকারের এমন অগণতান্ত্রিক ও অযাচিত সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সরকার একদিকে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রগতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে আয়োজিত পয়লা বৈশাখের সব উন্মুক্ত অনুষ্ঠান বিগত বছরের মতো এবারও সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে নির্জলা আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই নয়।

বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণসংস্কৃতি কেন্দ্র, সংহতি সংস্কৃতি সংসদ, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, রাজু বিতর্ক অঙ্গন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, প্রগতি লেখক সংঘ, গণসংস্কৃতি পরিষদ, স্বদেশ চিন্তা সংঘ, বাংলাদেশ থিয়েটার, তীরন্দাজ, রণেশ দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র সংসদ, এই বাংলায়, ঢাকা ড্রামা, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী-সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, থিয়েটার ’৫২, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ, শহীদ আসাদ পরিষদ, মাদল, বটতলা—এ পারফরম্যান্স স্পেস, সমাজচিন্তা ফোরাম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।