Thank you for trying Sticky AMP!!

রুশ জাহাজ দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রুশ জাহাজ উরসা মেজরকে ভিড়তে না দেওয়া বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইতিমধ্যে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জামবাহী রাশিয়ার জাহাজটি বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্রগুলো আমাদের যে বার্তা দিয়েছে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এর সমাধানে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। রূপপুরের মতো মেগা প্রকল্প আমরা সময়মতো শেষ করতে চাই। এই প্রকল্পকে আমরা গুরুত্বও দিই।’

প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, মেট্রোরেলের ছয়টি রুট হবে। এর একটি সবে চালু হয়েছে। ঢাকাবাসীর ওপর এই প্রকল্পের প্রভাবও পড়েছে। সেই জায়গা থেকে রূপপুর প্রকল্প যেন সময়মতো শেষ হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

তৃতীয় দেশ হয়ে রুশ জাহাজে আনা রূপপুর প্রকল্পের সরঞ্জাম আসবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা জাহাজ কোম্পনি ও সে দেশের বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার জাহাজ উরসা মেজরকে বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জাহাজটি এখন তৃতীয় কোনো দেশের বন্দরে পণ্য খালাস করার উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার মুখে রুশ জাহাজটিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর নামের জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর ছেড়ে আসে। গত ২৪ ডিসেম্বর জাহাজটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।

তবে ওই জাহাজ বাংলাদেশে আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে জানায়, উরসা মেজর জাহাজটি আসলে রাশিয়ার মালিকানাধীন স্পার্টা থ্রি নামের একটি জাহাজ। এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। নাম বদলে জাহাজটিকে উরসা মেজর নামে নিবন্ধন দেওয়া আছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই জাহাজকে বাংলাদেশে ভিড়তে দিলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বিবেচনা করে সরকার অনুমতি দেয়নি।