Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক–এর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ঢাকা, ২৫ মার্চ

থিম্পুর সঙ্গে ঢাকার তিন সমঝোতা স্মারক সই, একটি নবায়ন

নতুন তিনটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করেছে। আজ সোমবার এসব সমঝোতা স্মারক সই ও নবায়ন করা হয়েছে।

নতুন সমঝোতা স্মারকগুলো হলো কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন এবং ভোক্তা অধিকার বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। আর সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আরেকটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।

সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রানি জেৎসুন পেমা ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চুক্তি তিনটির মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্দিন ওয়াংচুক থিম্পুতে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং ভুটানের বাণিজ্যসচিব তাশি ওয়াংমো নিজ নিজ পক্ষে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং ভুটানের বাণিজ্যসচিব তাশি ওয়াংমো ভোক্তা অধিকার বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এবং ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন নিজ নিজ পক্ষে সাংস্কৃতিক বিনিময়সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়নে সই করেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ভুটানি শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক মেডিকেল আসনসংখ্যা ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) ভুটানের তিন ব্যাচের কর্মকর্তাদের তিন বছরের জন্য বার্ষিক বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে সদিচ্ছা ও বন্ধুত্বের বিশেষ অঙ্গীকার হিসেবে বাংলাদেশ ভুটানের সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটার ও ল্যাপটপ হস্তান্তর করেছে।

রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকও করেন। তাঁদের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন। আওয়ামী লীগ গত জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ দফায় সরকার গঠনের পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।