Thank you for trying Sticky AMP!!

ডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে, কালও চলবে

হাইকোর্ট

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স), আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি অব্যাহত রয়েছে। এর আগে পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শুরু করে।

বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন। কাল মঙ্গলবারও শুনানির জন্য দিন রয়েছে।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনানি শুরু হয়েছে। এ বছর হয়তো শুনানি শেষ হবে না। আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম দিকে শেষ হবে।’

এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তাঁর কোনো আপিল দেখিনি এখনো। যেহেতু উনার আপিল নেই, তাই উনার বিষয় এখানে আসবে না।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। দণ্ডিত দুই আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গতকাল শুনানি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের আদেশ অংশ, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের অংশবিশেষ পেপারবুক থেকে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুনানি অব্যাহত থাকবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় করা মামলার ২০১৮ সালের অক্টোবরে রায় দেন বিচারিক আদালত। তাতে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

কোনো মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসেবে পরিচিত। এ অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের জেল আপিল, আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর সাধারণত একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। তবে শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক প্রস্তুত করতে হয়।