Thank you for trying Sticky AMP!!

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে আজ

আবহাওয়া অধিদপ্তর

আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ দ্রুত শক্তি বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাগরের পশ্চিম অংশে তৈরি হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। আজ সোমবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হতে পারে। এর গতিমুখ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আছে। তবে এটি শক্তি বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত উপকূলের দিকে আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ বা ভারতের দিকে আসুক বা না আসুক, এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, আগামী দু-তিন দিন চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে টানা বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি আজ সোমবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর সাগরেই বিলীন হয়ে যাবে নাকি উপকূলে আঘাত করবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এর প্রভাবে দেশের উপকূলসহ অন্যান্য স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা ২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলের ৯০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং উপকূলকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে রাজধানীতে একপশলা বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল দুই মিলিমিটার। আর দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে চার মিলিমিটার। আজ সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উপকূলীয় এলাকায় বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের মে মাসে প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে প্রভাব ফেলে। গত বছরও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশে উঁচু জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের মাধ্যমে প্রভাব ফেলেছিল। ঘূর্ণিঝড় হামুন সৃষ্টি হলে এটি হবে বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর আগাম নাম ঠিক করা হয়। হামুন নামটি দিয়েছেন ইরানের আবহাওয়াবিদেরা। পারসি শব্দ হামুন মানে সমুদ্রের মাঝে সৃষ্টি হওয়া সমতল এলাকা ও ছোট হ্রদ।