Thank you for trying Sticky AMP!!

স্থানীয়দের হামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত এক শিক্ষার্থী। গতকাল বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

মাইকে লোক ডেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলার ঘটনায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারী থানায় এ মামলা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সেকান্দর চৌধুরী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক।
গতকাল বেলা তিনটার দিকে মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এতে এক ছাত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন।

Also Read: মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের উপপক্ষ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। পরে সন্ধ্যায় প্রশাসনের লোকজন এলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ চারজন আহত হয়েছিলেন। যে কর্মচারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল, তাঁর নাম বখতিয়ার উদ্দিন। তিনি স্থানীয় ফতেপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বখতিয়ারের অনুসারীরা। এর জেরেই গতকাল হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, গতকাল রাতেই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে মামলার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রশাসন। এ বৈঠকে করণীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি মামলা করেছেন। যেহেতু জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেননি, তাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করেছেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চেয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে অন্তত পাঁচবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।