Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। রমজান ঘিরে বেড়েছে এ মাংসের দাম

চট্টগ্রামে রোজা শুরুর আগেই বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম

চট্টগ্রামের বাজারে রোজার আগে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় বাজারে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে মাংসের দাম।

আজ সোমবার সকালে নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর ও আশপাশের গরুর মাংসের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়; যা গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজারে ৭০০–৭৫০ টাকায় পাওয়া যেত। গত বছর একই সময়ে দাম ছিল গড়ে ৭০০ টাকা।  

চট্টগ্রামের বাজারে সাধারণত হাড়সহ ও হাড় ছাড়া—এই দুইভাবে গরুর মাংস বিক্রি হয়। বাজারের হাড় ছাড়া মাংসের দাম তুলনামূলক বেশি। সেটাও আজ বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৯৫০ টাকায়। গত মাসে তা ছিল ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা।

বহদ্দারহাট বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও বাজার ঘুরে ৯০০ টাকায় হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখেছিলেন তিনি। আজ দর–কষাকষি করেও ৯৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চট্টগ্রামের বাজারে ২০২১ সালের মার্চে গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা। পরের বছর একই মাসে তা ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা হয়ে যায়। গত বছর এই সময়ে বাজারের হাড়সহ গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৭৫০ টাকা ও হাড় ছাড়া  ৯০০ টাকা। প্রতিবছর রোজার অন্তত এক মাস আগে বাজারে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

রোজা সামনে রেখে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও অস্থায়ী গরুর মাংসের দোকান দিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয়ভাবে টাকা তুলে গরু কিনেছেন কয়েকজন। স্থানীয় লোকজনের কাছে কিছুটা কম মূল্যেই এসব দোকানে মাংস বিক্রি হচ্ছে।

নগরের খাজা রোড এলাকায় এমন দুটি দোকান দেখা গেছে। সেখানে প্রতি কেজি হাড়সহ গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, রোজায় মানুষের কাছে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে মাংস বিক্রি করার উদ্দেশ্যে স্থানীয়ভাবে কয়েকটি গরু জবাই দেওয়া হয়। অন্তত বাজারের চেয়ে কম মূল্যে মাংস কিনতে পারেন এলাকাবাসী।

এদিকে রোজা ঘিরে বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার, দেশি ও সোনালি মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লারের দাম। এ ছাড়া দেশি ও সোনালি মুরগিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। আজ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা। এ ছাড়া ৫০ টাকা বেড়ে দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা ও সোনালি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।