Thank you for trying Sticky AMP!!

সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে আজ রোববার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়  

৩২ টাকা দরে ৫ লাখ টন ধান কিনবে সরকার

চলতি বছর বোরো মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ টন ধান কিনবে সরকার। গতবার ৩০ টাকা দরে কেনা হয়েছিল। সে হিসাবে এবার প্রতি কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া গতবারের চেয়ে এবার এক লাখ টন বেশি ধান কেনা হবে।

আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে ও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে।

আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সভায় কৃষিমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Also Read: চাল ‘উদ্বৃত্ত’, তবু বাড়ছে দাম

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে ৫ লাখ টনের বেশি ধান কেনা হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ৪৫ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবার এটি ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছিল। এ ছাড়া ৪৪ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন আতপ চাল কিনবে সরকার। ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গমও কেনা হবে।

আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে ও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে।

কৃষক যাতে তাঁর উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য এবার ধান কেনা কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে এবং এতে কৃষক উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

Also Read: দাম বাড়ানোর পরেও ধান পাচ্ছে না খাদ্য বিভাগ

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন খাদ্য মজুত আছে ১২ লাখ টন। কোনো ঘাটতি নেই। তবে কেন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল সরকার—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের কিছু গোপন পলিসি (নীতি) থাকে, তা বলা যাবে না। ধান কেনার সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী। কমিটিতে মোট মন্ত্রী আছেন ৮ জন, সচিব আছেন ১০ জন। খাদ্যশস্যের উৎপাদন, চাহিদা, মজুত এসব বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে সভায়। এ ছাড়া খাদ্য-সম্পর্কিত বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।

Also Read: চাল উৎপাদন বাড়বে, দাম কমার আশা কম