Thank you for trying Sticky AMP!!

আট-দশ দিনের ধর্মঘটেও চালের দাম বাড়বে না

চালের ছবিটি প্রতীকী।

খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে, চালের মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বৃদ্ধি করা হলে তা সহ্য করা হবে না।

আজ বেলা ১১টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চালকল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, ধানের দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হতো। কিন্তু ধানের দাম বাড়েনি। তাই চালের দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। ধানের দাম বৃদ্ধি পেলে কৃষক কিছুটা লাভবান হতো কিন্তু তা হয়নি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কৃষক লাভ পাবে না, কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা সব লাভ নিয়ে যাবে, সেটা চলতে দেওয়া যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বিভিন্ন টিম মাঠ পর্যায়ে চালের বাজার তদারকি করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের প্রতিটি বাজারে বিপুল পরিমাণ চালের মজুত আছে। যদি কেউ কারসাজি না করে তাহলে আগামী ৮-১০ দিন পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চললেও চালের দামের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না ।

চাল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশি দামে চাল বিক্রির অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজন হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কেউ অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি চালকল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা শুধু আশ্বাস নয়, শপথ করুন যে আর চালের দাম বৃদ্ধি করবেন না।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রশিদ, বাংলাদেশ অটো রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব খোরশেদ আলম সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।