Thank you for trying Sticky AMP!!

আতঙ্ক কাটিয়ে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: শাকিল রিজভী

দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটছে। গত সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবস বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন দেখা যায় দেশের শেয়ারবাজারে। বলা হচ্ছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই শেয়ারবাজার বড় ধাক্কা খেয়েছে। তবে এই অবস্থা দ্রুত কেটে যাবে বলে মনে করেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী।

গতকাল শনিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়, সেই অপেক্ষায় আছেন। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে বলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি মন্তব্য করেন।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ঋণাত্মক ঋণ হিসাব ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয়ের নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে বাজারে একটি গোষ্ঠী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। সেই আতঙ্কের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তাতেই আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা হুজুগে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাছবিচার ছাড়াই লেনদেন হওয়ায় অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন ঘটেছে।

ইউক্রেনে হামলার ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের অংশ হিসেবে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রুশ প্রতিষ্ঠান ভিটিবি ক্যাপিটালের লেনদেন স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। এদিকে তাবৎ বিশ্বের বড় সব শেয়ারবাজারেও গত সপ্তাহের শেষ দিকে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। কোনো সম্পর্ক না থাকলেও বড় শেয়ারবাজারগুলোয় বড় ধরনের দরপতনের কারণে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মতো এ দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৯ পয়েন্ট বা দেড় শতাংশ কমেছে। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটেই ১১২ পয়েন্ট পড়ে যায়। দিনের লেনদেন শেষে অবশ্য পতন বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৩ দশমিক ৩০ পয়েন্ট (২.৩৯%)। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এটিই ডিএসইএক্স সূচকের সর্বোচ্চ পতন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি, আতঙ্কিত হয়ে যাঁরা শেয়ার বিক্রি করেন, তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েন। কারণ, আতঙ্কিত হয়ে কম দামে তাঁরা শেয়ার বিক্রি করেন। কিন্তু বাজার তো আবার তার নিয়মে ঘুরে দাঁড়ায়। তখন দেখা যায়, যাঁরা লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন, তাঁদের আবার বেশি দামে শেয়ার কিনতে হয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের উচিত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা।’