Thank you for trying Sticky AMP!!

আদার দাম বাড়তি

>
  • ঈদুল আজহার ছুটির পর বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে 
  • ঈদুল আজহার আগে প্রতি কেজি আদা ১০০ টাকা ছিল
  • এখন আদার দাম ২০ টাকা বেড়েছে
  • ডিম ও ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে

রাজধানীর বাজারে আদার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি আদা কিনতে এখন ২০ টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। প্রতিবছর সাধারণত পবিত্র ঈদুল আজহার আগে আদার দর বেশি থাকে। এ বছর বাজারে ভিন্ন চিত্র।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদুল আজহার ছুটির পর বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। এতে শুধু আদা নয়, ডিম ও ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। এসব পণ্যের দাম ঈদের ছুটিতে বেশ কমে গিয়েছিল।

মানুষের ঘরে ঘরে এখনো কোরবানির পশুর মাংস। এ মাংস রান্নার অন্যতম উপকরণ আদা। ফলে বাজারে পণ্যটির চাহিদা বেশি। বড় বাজারে এখন চার ধরনের আদা পাওয়া যাচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মসলার দোকানগুলোতে প্রতি কেজি চীনা আদা ১২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১১০ টাকা, দেশি অপরিপক্ব নতুন আদা ১০০ টাকা ও দেশি পুরোনো আদা ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চীনা ও ভারতীয় আদার দাম ২০ টাকা বেড়েছে। দেশি নতুন আদা ঈদুল আজহার আগে দেখা যায়নি। পুরোনো দেশি আদা কম পাওয়া যায়, দাম আগে থেকেই চড়া।

খুচরা দোকানে মূলত চীনা ও ভারতীয় আদা বিক্রি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কাজীপাড়া ও বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চীনা আদা ১২০-১৩০ ও ভারতীয় আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের আমদানিকারক মো. আবদুল মাজেদ বলেন, চীনে ও ভারতে আদার দর বেশি। এ কারণে বাংলাদেশের বাজারও কিছুটা বাড়তি। তিনি দাবি করেন, প্রতি কেজি আদার আমদানি ব্যয়, লাভসহ মূল্য পড়ে ১০০ টাকার বেশি। সেটি ঈদের আগে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন তাঁরা। গতকাল প্রতি কেজির দর গেছে ১১০ টাকা।

ঈদের আগেই বাজারে পেঁয়াজের দর কমছিল। ঈদের পর ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দর ২০ টাকায় নামে, যা এখন পাইকারি বাজারে প্রতি ৫ কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে দর পড়ছে প্রতি কেজি ২৪ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দর কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানে ফরিদপুরের দেশি পেঁয়াজ প্রতি ৫ কেজি ২৩০ টাকা ও পাবনার পেঁয়াজ ২৫০ টাকা পড়ছে। অবশ্য বস্তা নিলে কেজিপ্রতি আরও ২ টাকা কম রাখছেন বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঈদের আগের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের দর এখন কম। এতে দেশি পেঁয়াজের বাজার বাড়েনি।

ঈদের আগে ফার্মের লাল ডিমের প্রতি ডজনের দর ছিল ১০৫ টাকা, যা ছুটির মধ্যে ৯০ টাকায় নামে। গত কয়েক দিনে দাম ৫ টাকা বেড়ে এখন প্রতি ডজন ৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন বড় বাজারের ডিম বিক্রেতারা। অবশ্য পাড়া-মহল্লার মুদিদোকান থেকে কিনতে তা ১০০ টাকাই দিতে হচ্ছে। হাঁসের ডিমের দাম আগের মতোই, হালি ৪৫ টাকা।