Thank you for trying Sticky AMP!!

আদালতের বাইরেও হলমার্কের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে

আতাউর রহমান প্রধান

হলমার্কের টাকা আদায়ে গ্রুপটির কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘গ্রুপটির বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। তবে আদালতের বাইরেও আমরা টাকা আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সোনালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে আতাউর রহমান প্রধানের যোগদানের এক বছর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যাংকটি। আতাউর রহমান যোগদানের পর ব্যাংকটির কি উন্নতি হয়েছে, তা তুলে ধরতে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়। এতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি হলমার্কের বিষয়টি তুলে ধরেন।

এক বছর উপলক্ষে এমন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন আর আগে কোনো ব্যাংক করেনি। এ নিয়ে জানতে চাইলে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, সহকর্মীরা এ আয়োজন করেছে। মূলত কি উন্নতি হয়েছে তা তুলে ধরার জন্য।

আতাউর রহমান প্রধান জানান, গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংকটির আমানত ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এ বছরের জুলাইয়ের তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। জুলাই পর্যন্ত পরিচালন মুনাফা ৪৭৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২২০ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। আর লোকসানি শাখা ৫৮টি থেকে কমে হয়েছে ৫০ টি। সব মিলিয়ে ব্যাংকটির উন্নতি হয়েছে।
আতাউর রহমান প্রধান, এমডি সোনালী ব্যাংক

তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক জানিয়ে আতাউর রহমান প্রধান বলেন,করোনাকালীন পাঁচ মাসে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সোনালী ব্যাংক পাঁচ বছর এগিয়ে গেছে। এরই মধ্যে ব্যাংকের ১ হাজার ২২৪টি শাখা অনলাইনে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘরে বসে গ্রাহকেরা হিসাব খুলতে পারছেন। আগামী মাস থেকে পুরোদমে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হবে।

যোগদানের পর এক বছরে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। এমন তথ্য জানিয়ে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘এর মধ্যে অন্য ব্যাংক থেকে খুব বেশি ঋণ কেনা হয়নি। নতুন ঋণও দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি,অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ কেনা ভালো। এতে অন্যায় কিছু নেই। শুরু থেকেই সুদ পাওয়া যায়। কিস্তিতে কোনো বিরতি থাকে না।’

আতাউর রহমান প্রধান আরও বলেন, করোনাকালে কাজ করতে গিয়ে ১ হাজার ১০০ কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যেও অর্থনীতিকে চাঙা করতে প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র দাস বিভিন্ন আর্থিক সূচক তুলে ধরেন।