Thank you for trying Sticky AMP!!

আর বিটুমিন আমদানি করতে হবে না: অর্থমন্ত্রী

বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বিটুমিন প্ল্যান্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী। ছবি: প্রথম আলো

বেসরকারি পর্যায়ে দেশের প্রথম বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্ট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরার কল্যাণে আমাদের আর বিটুমিন আমদানি করতে হবে না, ভবিষ্যতে বিদেশে বিটুমিন রপ্তানি করা হবে।’

আজ শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বিটুমিন প্ল্যান্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বিটুমিন নিয়ে সমাধান খুঁজে পাইনি। আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খায়, এমন বিটুমিন পাইনি। আমদানি করার পর গুণগত উৎকর্ষ ধরে রাখতে পারতাম না। রাস্তাগুলো টেকসই হতো না। কিন্তু বসুন্ধরা সেই সমাধান নিয়ে এসেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে তারা বিদেশেও বিটুমিন রপ্তানির পরিকল্পনা করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।’

এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি এ দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। দরিদ্র মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সহযোগিতায় এ কাজগুলো করে যাচ্ছে। আমরা এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে রূপান্তর করতে চাই। যেখানে থাকবে না বঞ্চনা। প্রত্যেক মানুষের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা পাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে।’

বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেসরকারিভাবে তিল তিল করে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এতে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। কেরানীগঞ্জকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুটি জনগণের স্বার্থে টোলমুক্ত করা দরকার। কেরানীগঞ্জের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য একটি উন্নত মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা দরকার। এতে কেরানীগঞ্জের মানুষ উপকৃত হবে। এ জন্য আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আমাদের সব সফলতার প্রধান উৎস বঙ্গবন্ধু, যিনি দেশটা স্বাধীন করেছেন। এ দেশের স্বপ্ন দেখতেন। স্বাধীন করার পরে তিনি যখন দেশটা গড়তে শুরু করলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু থাকলে হয়তো আরও ২৫ বছর আগেই আমরা আজকের অবস্থানে যেতে পারতাম।’

বসুন্ধরার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের সব উৎসাহ-উদ্দীপনার মূল উৎস। তাঁর উৎসাহ-উদ্দীপনায় আজ বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অর্থনীতি উন্নত হয়েছে। একসময় বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি, আজ সারা দুনিয়া বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান তানভীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সানভীর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ এম শামীম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ।