Thank you for trying Sticky AMP!!

ঋণখেলাপির জন্য ব্যাংকগুলোই মূলত দায়ী: মির্জ্জা আজিজুল

মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের ছবি ন্যাশনাল ফোল্ডারে আছে

গ্রাহকেরা এক ব্যবসার কথা বলে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে স্থানান্তর করছেন। এসব ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ছে। আর ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ার জন্য ব্যাংকগুলোই মূলত দায়ী। বড় বড় ঋণ বেশি খেলাপি হয়ে পড়ছে, ছোট ঋণগুলো নিয়মিতই থাকছে। তাই ব্যাংকগুলোকে এদিকে বেশি নজর দিতে হবে।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকব্যবস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) ও অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে ব্যাংকার ও গবেষকদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিনে আজ সোমবার এ কর্মশালা হয়। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ চৌধুরী।
খেলাপি ঋণ আদায় ও ঋণ পুনর্গঠন বিষয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতে গেলেও সেভাবে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। মামলার তুলনায় বিচারক কম। সরকার অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দিলে এসব মামলা নিষ্পত্তি হতে পারে। যেসব গ্রাহকের প্রতি ব্যাংকগুলো দুর্বল, তাদের ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এসব ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সুদের হার ও ব্যাংক একীভূত বিষয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঋণ ও আমানতের সুদের হারের ব্যবধান (স্পেরড) ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা কীভাবে এল, কারা করল। স্পেরড সর্বোচ্চ ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ হতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই স্পেরড এমন। স্পেরড কমিয়ে আনলে সুদের হার কমে আসবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেক। এটা অপ্রত্যাশিত। কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করা যেতে পারে।

এদিকে ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, আর্থিক খাত বড় হচ্ছে, এ জন্য কিছু পীড়া সহ্য করতেই হবে। তবে বাংলাদেশে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি ক্যানসারের মতো হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো এটা চরমভাবে বুঝতে পারছে। এসব থেকে বাঁচতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণের অর্থ আদায়ে বাংলাদেশে আইনি ব্যবস্থা এত কঠোর নয়। ঋণখেলাপি ধরতে কার্যত কোনো আইনও নেই। এসব থাকলে খেলাপি হওয়া কমত। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী।