Thank you for trying Sticky AMP!!

এশিয়ার বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে

জাপানের নিকেই সূচকের অবস্থান আজ শুক্রবার অপরিবর্তিত আছে। বেড়েছে হংকংয়ের হ্যানসেং আর চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক। ছবি: রয়টার্স

এশিয়ার পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ কমলেও সতর্ক অবস্থানে আছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ শুক্রবার লেনদেনের শুরু থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রধান প্রধান পুঁজিবাজার। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনা প্রতিরোধে বহাল লকডাউনের কারণে সারা বিশ্বই অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে। নানা পদক্ষেপ নিয়ে পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশগুলো। এসব পদক্ষেপে একটু একটু করে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরে আসছিল বিনিয়োগকারীদের। তবে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে আবার সংক্রমণ বাড়ায় সতর্ক অবস্থানে আছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ নতুন এই সংক্রমণ মোকাবিলা করা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

এর মধ্যে ভালো খবর নিয়ে এসেছে চীনের অর্থনীতি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাপকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তারা। প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে আরেকটি পরিসংখ্যান এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। মার্কিন খুচরা বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি জুনে অব্যাহত ছিল, তবে মে মাসের চেয়ে ধীরগতিতে হয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসসহ বড় রাজ্যগুলো নতুনভাবে লকডাউন-ব্যবস্থা আরোপ করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এসব সংবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়েই পুঁজিবাজারে দরপতন দেখা যায়। তবে আজ এশিয়ার বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

আজ লেনদেনের শুরুতে জাপানের নিকেই সূচকের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। বেড়েছে হংকংয়ের হ্যানসেং আর চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে ডাও জোন্স সূচক কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। লন্ডনের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক কমে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

অন্যদিকে জ্বালানি তেলের বাজারেও মিশ্র অবস্থা দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি তেলের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৭৭ ডলারে। অন্যদিকে ব্রেন্ট নর্থ সি ক্রুড শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের দাম ৪৩ দশমিক ৩৫ ডলার।