Thank you for trying Sticky AMP!!

কাগজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি

জধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আজ শনিবার ছয়টি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রথম আলো

আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি কাগজ আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি উঠেছে। দেশের মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা এই দাবি করেছেন। এসব শিল্পের কাঁচামাল হিসেবেই ব্যবহৃত হয় কাগজ।

রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আজ শনিবার ছয়টি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনীয়াবাত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাগজ আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, কাগজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, পাঠ্য পুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল এবং মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান।

ছয় সংগঠনের ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিস বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড ও সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপারের বিপুল চাহিদা রয়েছে। তবে এসব পণ্যের আমদানিতে সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা আছে। ফলে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। পাশাপাশি প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে ৫ শতাংশ শুল্কে বিদেশি কাগজ আমদানির সুযোগ দিলে বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হবে ও বাজার স্থিতিশীল হবে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
লিখিত বক্তব্যে শহীদ সেরনীয়াবাত বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় কাগজ আমদানির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে বাস্তবতা হলো, আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা অসুস্থ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্ড সুবিধায় আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

শহীদ সেরনীয়াবাত অভিযোগ করে বলেন, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের চাহিদার ভিত্তিতে শুধুমাত্র ৩০০ গ্রাম ও তদূর্ধ্ব গ্রামের কাগজ এবং বোর্ড বন্ড সুবিধায় আমদানি করার সুযোগ আছে। তবে সাম্প্রতিককালে বন্ড সুবিধা ভোগকারী কিছু প্রতিষ্ঠান নীতিমালাটি লঙ্ঘন করে নির্বিচারে বিভিন্ন গ্রামের কাগজ ও বোর্ড আমদানি করছে। বন্ড সুবিধার আওতায় শূন্য শুল্কে আমদানি করা ৩০০ গ্রামের চেয়ে কম ওজনের এসব কাগজ ও বোর্ড খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।