Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সরকারের সঙ্গে আজ বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশের ২০টি জেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করা এই অর্থায়নের লক্ষ্য। একই সঙ্গে কোভিড-১৯-এর ধাক্কা সামলাতে এসব মানুষকে সক্ষম করে তোলাও এই চুক্তির লক্ষ্য।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই রেজিলিয়েন্স, এন্ট্রপ্রেনিউয়রশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) কর্মসূচির লক্ষ্য, দেশের ৩ হাজার ২০০টি গ্রামে উপার্জনমূলক কর্মসূচি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোগে সহায়তা করা।

দেশের গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষের জীবনে কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে নারীদের জীবনে এর প্রভাব ব্যাপক। তাঁদের আয় হ্রাসের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুযোগও কমে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান মার্সি টেমবন বলেন, এই প্রকল্পে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। উপকারভোগী ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশই নারী। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিও এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ব্যাপারটা হলো, নারীর আয় বাড়লে সমাজ ও পরিবারের উন্নতি হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের বৃহত্তর বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে অংশীদারির পাশাপাশি প্রচারণামূলক কার্যক্রমও থাকবে এই প্রকল্পে। এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বেকার ও অর্ধবেকার তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং দেশে ফেরত প্রবাসী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে জলবায়ু–ঝুঁকি, অভিযোজন ও ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৫ হাজার ১২০টি জলবায়ুসহিষ্ণু ছোট আকৃতির অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রধান মার্সি টেমবন।