Thank you for trying Sticky AMP!!

চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩৬%

চামড়ার ব্যাগ

দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে এই খাত থেকে ৩৩ কোটি ডলার আয় হয়েছে। দেশের মুদ্রায় হিসাব করলে (এক ডলার = ৮০ টাকা) যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।
এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের ২৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর—এই ছয় মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ আয় হয়। এর মধ্যে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের চামড়া ও নয় কোটি ৪৯ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৫৬ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় হয়। আর চলতি অর্থবছর এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশে প্রস্তুত চামড়ার মান ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদাও বেশি। আবার বড় প্রতিযোগী দেশগুলোতে উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় আছে বাংলাদেশের চামড়াপণ্য। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ দেশের পাদুকার চাহিদাও।
পাদুকা রপ্তানি থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা আলোচ্যসময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের ২১ কোটি ডলারের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া উৎপাদিত হয়, যার ৫০ শতাংশই দেশের চামড়াজাত শিল্পে ব্যবহূত হয়। বাকিটা প্রক্রিয়াজাত করে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, হংকং ও তাইওয়ান প্রভৃতি দেশে রপ্তানি হয়।
চামড়া প্রক্রিয়াজাত হয় ট্যানারিতে। সারা দেশে ট্যানারি আছে ২২০টি। রাজধানীর হাজারীবাগেই আছে ২০৬টি। এ খাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন সাত লাখ ৪১ হাজার মানুষ। বিটিএ বলছে, দেশের ট্যানারি কারখানাগুলোতে এ পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা।