Thank you for trying Sticky AMP!!

টাওয়ার বসাতে জোর দিতে বলল বিটিআরসি

দুই বছরে দেশে খুব কম টাওয়ার স্থাপিত হয়েছে।

একদিকে গ্রাহক বাড়ছে, অন্যদিকে টাওয়ার তেমন একটা বসছে না। এমনই এক পরিস্থিতি টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে টাওয়ার বসানোর ওপর জোর দিতে নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি ২০১৮ সালে ১ নভেম্বর ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিডেট, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডকে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অবকাঠামো ভাগাভাগি–সংক্রান্ত টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেয়।


কথা ছিল, মোবাইল অপারেটরদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই চার কোম্পানি টাওয়ার বসাবে। অবশ্য অপারেটরদের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর চুক্তির শর্ত নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। ফলে প্রায় দুই বছরে খুব কম সংখ্যক টাওয়ার তৈরি হয়েছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে বিটিআরসি।


বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, সংস্থাটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার মো. মুহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সামিট কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, তাঁরা বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়া সাপেক্ষে ২৫৯টি টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী মাসের মধ্যে ১৫০টি ও আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৯টি টাওয়ার নির্মাণ করবেন।

কথা ছিল, মোবাইল অপারেটরদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই চার কোম্পানি টাওয়ার বসাবে। অবশ্য অপারেটরদের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর চুক্তির শর্ত নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। ফলে প্রায় দুই বছরে খুব কম সংখ্যক টাওয়ার তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইডটকো বাংলাদেশের পরিচালক (প্রকৌশল) সাব্বির আহমেদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তাঁর প্রতিষ্ঠান টাওয়ার নির্মাণ কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা তিনি তুলে ধরেন।
কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের প্রধান আনিস আহমেদকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাঁরা বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনায় প্রায় শেষের দিকে রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার নির্মাণ শুরু করতে পারবেন।


এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মঞ্জুরুল হাসান বলেন, তাদের আগামী তিন মাসে তিন শ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, তাঁরা মোবাইল অপারেটর রবির সঙ্গে ১০০ টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে কমিশনের পক্ষ থেকে যেকোনো সমস্যা (ইস্যু) স্বল্পতম সময়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বাজার প্রতিযোগিতায় আইন ও বিধানের বাইরে কাজ করলে কঠোর হবে কমিশন।