Thank you for trying Sticky AMP!!

তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বে পণ্য বাণিজ্য বেড়েছে

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও)

বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্য অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে পণ্য বাণিজ্য ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বাণিজ্য কমেছিল ১২ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পণ্য বাণিজ্য বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই পণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলো দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব দেশ অতিমাত্রায় প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, তারা এখনো ওভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এটি মূলত অর্থনীতির বাস্তবতাই প্রতিফলিত করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের ভাষ্যমতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা প্রায় স্বাভাবিক পর্যায়ে উঠে গেলেও অর্থনীতি এখনো ৮০-৯০ শতাংশ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে উত্তর আমেরিকার রপ্তানি বেড়েছে ২০ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া ইউরোপের বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং এশিয়ায় ১০ দশমিক ১ শতাংশ। এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কারণ হলো, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো অতটা ক্ষতি তার হয়নি। ফলে তার ভিত্তি ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো। মধ্য এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

তৃতীয় প্রান্তিকে রপ্তানির ইতিবাচক চিত্র আবার বার্ষিক তুলনায় ফিকে হয়ে যায়। বাস্তবতা হলো, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় সব অঞ্চলের রপ্তানি নেতিবাচক। উত্তর আমেরিকার রপ্তানি কমেছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ, ইউরোপের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও অন্যান্য অঞ্চলে কমেছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রেও কেবল এশিয়া ব্যতিক্রম—গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।